আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কেমন কাটছে ইউক্রেনীয়দের রোজা-ইফতার!

ইউক্রেনের জনগণের খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ মুসলিম। মুসলিমদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের কাছাকাছি হবে। গেলো দুটি রমজানে কোভিড মহামারির কারণে সেভাবে কোন উৎসব করতে পারেননি ইউক্রেনীয় মুসলিমরা। তাই এবার খুব আগ্রহ নিয়ে রমজানের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু এবার যুদ্ধের কারণে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের মুসলিমদের রোজা ও ইফতার খুবই কষ্টে কাটছে। বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবছর এই পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে সংযমের সঙ্গে ইবাদত করে থাকেন। কিন্তু ইউক্রেনের যে পরিস্থিতি, তাতে দেশটির মানুষের ভাষ্যমতে, খুবই কষ্টে রমজান কাটছে তাদের। সূত্র: বিবিসি বাংলা

ইউক্রেনীয় নারী বাসিন্দা ভিক্টোরিয়া নেসটারেংকো বলেন, সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে নিজেকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত করা। আমার আরও বেশি পবিত্র কোরআন পাঠ করা প্রয়োজন এবং আরও বেশি সময় নিয়ে নামাজ পড়া প্রয়োজন। কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে ইবাদতে মন দেয়া খুব কঠিন। কেননা, আমরা মানসিক চাপ ও অবসাদের মধ্যে রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, নামাজের জন্য হয়তো ঠিকই সময় বের করছি। যুদ্ধের জন্য এক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা মাফ রয়েছে। দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে না পারলে সেটা পরে কাজা করা যায়। দিনেরটা সন্ধ্যায় কিংবা সন্ধ্যারটা রাতে আদায় করা যায়। এভাবে ধর্মীয় ফরজ কাজ রক্ষা করতে পারি আমরা।

হালাল মাংসের সংকট: ইউক্রেনে যেসব মানুষ মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য খাবার রান্নায় সাহায্য করেন আরেক ইউক্রেনীয়া নারী বাসিন্দা নিয়ারা। 

তিনি বলেন, আমরা সচরাচর যেসব খাবার খাই সেরকম খাবারই রান্নার চেষ্টা করি। কিন্তু এখানে সমস্যা হচ্ছে হালাল মাংস পাওয়া যায় না। তবে মাঝে মধ্যে কিছু হালাল মুরগী পাওয়া যায়।

নিয়ারা আরও বলেন, তুরস্কের মতো কিছু দেশের মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্য সাহায্য পাঠায়। পাশাপাশি স্থানীয় মুসলিমরা কিছু রান্নার হাঁড়ি-পাতিল ও বাসন-কোসন দিয়ে সহযোগিতা করেন।
তবে ভিক্টোরিয়া ফ্রিজিং মাংস ও মাছ দিয়ে কোনো রকমে রান্না চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাসনিয়া রহমান

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন