আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

যে খাবারে ওজন বাড়বে না বরং যাবে কমে

শরীরের কাজকর্ম ঠিকভাবে চালানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। সেই শক্তি আসে খাবার থেকে। শরীর চালানোর জন্য এই শক্তি বাবদ যতটা ক্যালোরি দরকার, খাবারে যদি তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে, তা হলেই শরীরের আনাচ-কানাচে মেদ জমতে শুরু করে। আর কম ক্যালোরি থাকলে, জমা মেদ থেকে শরীর শক্তি তৈরি করে নেয়। ফলে মেদ জমতে পারে না শরীরে।

টমেটো

সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই ক্যালোরি-শূন্য খাবারের খোঁজ করেন। কিন্তু ক্যালোরি-শূন্য খাবার বলে আসলে কিছু হয় না। তবে যদি এমন খাবার খাওয়া যায়, যাতে ক্যালোরির পরিমাণ শরীরের চাহিদার চেয়ে অনেকটা কম, তা হলে মেদ কমবে। এমনই একটি খাবার হল টমেটো। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে সালাদ হোক বা রান্নায় টমেটো রাখতে পারেন। টমেটোর রস করে খাওয়াও কিন্তু বেশ উপকারী।

জেনে নেয়া যাক টোম্যাটো কী ভাবে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে-

টমেটোতে ক্যালরির মাত্রা কম, পানি থাকে বেশ ভাল পরিমাণে। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে টমেটো বেশি করে রাখাই যায়। এটি খেলে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে, খুব বেশি কোনও কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না।

টমেটোতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পেট ভাল রাখতে, হজমের গোলমাল কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। কোষ্ঠকাঠিন্যের দাওয়াই হিসাবেও টমেটো খেতে পারেন।

টমেটোতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে। এই যৌগ খিদের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। তাই উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত কোনও কিছুই খেতে তেমন ইচ্ছে করে না।

টমেটো-সালাদ

টমেটোতে থাকা ক্যাপসাইকিন যৌগ বিপাক হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই যৌগ মেদ পুড়িয়ে শরীরে শক্তির জোগান দেয়।

টমেটোতে লাইকোপেনে নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ওজন কমাতে বেশ উপকারী। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেদ ঝরাতে ও শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই দুই মিলিয়ে ওজনও বাগে রাখা সম্ভব হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন