আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ে শ্বশুর-জামাতা, স্বস্তিতে নেই মোমিন মণ্ডল

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি নমনীয় থাকবে আওয়ামী লীগ। এছাড়ও নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে এবং ভোট কেন্দ্র উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য প্রতিটি আসনে বিকল্প প্রার্থী রাখতে বলছেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। এতে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং উপজেলা পরিষদের পদ ছেড়েছেন তারাই জামাতা নরুল ইসলাম সাজেদুল। এদিকে, টানা দু মেয়াদে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর আসনে নৌকার মনোনীত এমপি মন্ডল পরিবার হলেও মাঠের রাজনীতি নিয়ে স্বস্তি নেই মোমিন মণ্ডল।

গেলো মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে মনোনয়ন উত্তোলন করে ইতিমধ্যে জমা দিয়েছেন তিনি। একই পথে হাঁটছে তার জামাতা সাজেদুল। তিনি ইতিমধ্যে উঠান বৈঠকের পাশাপাশি গণসংযোগ শুরু করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, গেলো মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর প্রেরণ করা পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আনিছুর রহমান।

আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৮-২০১৪ দুই মেয়াদে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মহাজোট সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।

বিগত নির্বাচন গুলোতে শ্বশুর জামাতার প্রকাশ্যে অবস্থান দেখে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিলো জেলা জুড়ে। দেখা যায় গত পৌর মেয়র নির্বাচনে একই কেন্দ্র বাবা ও মেয়ের দুদিকে অবস্থান। এদিকে নৌকার হ্যাট্রিক করেছে তার পরিবার। টানা দু মেয়াদে বেলকুচি, চৌহালী ও এনায়েতপুর আসনে নৌকার মনোনীত এমপি মন্ডল পরিবার হলেও মাঠের রাজনীতি নিয়ে স্বস্তি নেই মোমিন মণ্ডল। এবার তৃতীয় বারের মতো নৌকা পেয়ে এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। তবে তৃণমূল রাজনীতিতে বড় শক্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও তার জামাতা নরুল ইসলাম সাজেদুল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, আমরা খুব বিপদে আছি দীর্ঘদিন লতিফ বিশ্বাসের সাথে রাজনীতি করেছি, তাকে এবারও নৌকার টিকিট দেয়া হয়নি। মোমিন মন্ডলকে নৌকা দেয়া হলেও আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মী লতিফ বিশ্বাসের সাথে কাজ করছে। আমরা আছি মহাবিপদে। দল দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। নৌকা পেয়েও স্বস্তি নেই মোমিন মণ্ডলের।

এই আসনে নির্বাচনী হাওয়া নিয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, এই আসনের জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণকে সাথে নিয়েই শেষ পর্যন্ত ভোটযুদ্ধে লড়াই করে যাবো। প্রায় দুবছর ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

শ্বশুর-জামাতার লড়াইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, গত উপজেলা পরিষদ ও মেয়র নির্বাচনে তিনি আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিল, আমরা নির্বাচিত হয়েছি। এবার সংসদ নির্বাচনে আমরা আশাবাদী প্রচুর ভোটে নির্বাচিত হবো।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন