রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হচ্ছে বস্ত্রশিল্প থেকে : রাষ্ট্রপতি
দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হচ্ছে বস্ত্রশিল্প থেকে।বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩’। এ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বস্ত্র খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’, বস্ত্র আইন-২০১৮ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা-২০২১’ সহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ খাতে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির উদ্দেশ্যে নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গার্মেন্টস শিল্প রক্ষায় করোনাকালে প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বস্ত্রশিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে কল্যাণ তহবিল গঠন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শাড়িকে আন্তর্জাতি বাজারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শ্লোগানটিকে এ বছর জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৩ এর মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।