চাকরির প্রলোভনে পাচার, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
ধর্ষণের শিকার এক নারী মুঠোফোনে র্যা বের সহায়তা চান। অভিযোগ পেয়ে গেলো বুধবার রাতে ঢাকার রামপুরা থেকে ওই নারীকে উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে ভাষা শেখানোর নামে মৌলভীবাজার থেকে এক নারীকে ঢাকায় আনা হয়। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই সময় এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মানবপাচার চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তোফায়েল আহম্মেদ, কামরুল আহম্মেদ, খালেদ মাসুদ হেলাল এবং মো. জামাল।
র্যাব-৩–এর অধিনায়ক বলেন, তোফায়েল আহম্মেদ ও ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি একই এলাকায়। তিনি ওই নারীকে সৌদি আরবে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ওই নারীকে বলেন, সৌদি আরবে যেতে হলে আরবি ভাষা শিখতে ঢাকায় যেতে হবে। পরে মৌলভীবাজার থেকে ঢাকার রামপুরায় চক্রের আরেক সদস্য কামরুল আহম্মেদের বাসায় এনে তোফায়েল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তোফায়েলসহ ওই চারজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
আরিফ মহিউদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার চারজন সংঘবদ্ধ মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের সদস্য। গ্রেপ্তার কামরুল এ চক্রের প্রধান। অন্য তিনজন তার সহযোগী। তাদের জনশক্তি রপ্তানির কোনো অনুমোদন নেই। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ ভিসায় নারীদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাচ্ছেন। তারা বিদেশ গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না। অনেকেই সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কখনো আবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকিট প্রদান করেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা। এভাবে পাঁচ বছরে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চক্রের সদস্যরা।
তাসনিয়া রহমান