আর্কাইভ থেকে এশিয়া

প্রেমিকাকে গাড়িচাপা দিয়ে মারার চেষ্টা আমলা-পুত্রের

প্রেমিকা প্রিয়া সিংহকে গাড়িচাপা দিয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আমলা-পুত্র অশ্বজিৎ গায়কোয়াডড়ের বিরুদ্ধে। গাড়িচাপায় প্রেমিকার পায়ের হাড় ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেছে। বাঁ দিক ক্ষতবিক্ষত। গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়েছিলেন আমলা-পুত্র অশ্বজিৎ ও তার সঙ্গীরা। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের আমলা-পুত্রের প্রেমিকা প্রিয়া সিংহ। অভিযোগটি ভারতের মহারাষ্ট্রের আমলা অনিল গায়কোয়াড়ের পুত্র অশ্বজিতের বিরুদ্ধে। প্রিয়া সিংহ বলেন, অশ্বজিৎ এবং ওর তিন বন্ধু রোমিল পাটিল, প্রসাদ পাটিল এবং সাগর শল্কে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। তার পর গাড়িচাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করে। আমার ডান পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। বাঁ দিক ক্ষতবিক্ষত। ওরা আমাকে রাস্তায় মরার জন্য ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছিল। গেলো ১১ ডিসেম্বর রাতের ঘটনা। মহারাষ্ট্রের আমলা অনিল গায়কোয়াড়ের পুত্র অশ্বজিতের বিরুদ্ধে তার প্রেমিকা প্রিয়াকে গাড়িচাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রিয়ার দাবি, অশ্বজিৎ বিবাহিত। কিন্তু তার কাছে সেই তথ্য গোপন করে গিয়েছেন। দীর্ঘ দিন পর যখন অশ্বজিতের বিয়ের কথা জানতে পেরেছিলেন, তখন তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু অশ্বজিৎ বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। অশ্বজিতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা তার বাড়ির সদস্যরাও জানতেন বলে দাবি প্রিয়ার। কিন্তু অশ্বজিৎ ভরসা দিয়েছিলেন যে, তাকে বিয়ে করবেন। শুধু তাই-ই নয়, প্রিয়ার দাবি, অশ্বজিৎ তাকে পরে জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। প্রিয়া আরও জানিয়েছেন, গেলো রোববার অশ্বজিৎকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কোথায় আছেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন বন্ধু সঙ্গীতের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে রয়েছেন। সেখানে যেতেই অশ্বজিৎ চমকে ওঠেন। কারণ তিনি তাকে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অশ্বজিৎ। বিষয়টি দেখার পরে তিনি সঙ্গীতের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রিয়ার দাবি, কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছিলেন অশ্বজিৎ। তখন তিনি বন্ধুদের পাঠান। পরে নিজেও আসেন। অশ্বজিৎকে তখন প্রিয়া জিজ্ঞাসা করেন, মিথ্যা কথা কেন বলেছিলেন? তার পরই ঝামেলার সূত্রপাত। প্রিয়ার অভিযোগ, এর পরই তার উপর হামলা চালান অশ্বজিৎ এবং তার বন্ধুরা। তাকে মারধর করেন। তার পর গাড়িচাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করেন। মহারাষ্ট্রের আমলা-পুত্র অশ্বজিৎ গায়কোয়াড়ের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করেছেন তার ‘প্রেমিকা’, তা অস্বীকার করে অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত। তিনি দাবি করেছেন, ওই তরুণী অর্থাৎ, প্রিয়া সিংহ তার প্রেমিকা নন। অশ্বজিতের দাবি, ১১ ডিসেম্বর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে হোটেলে ছিলেন তিনি। সেখানে ভোরবেলা মত্ত অবস্থায় হাজির হন প্রিয়া। অনুষ্ঠানের মাঝে অশান্তি শুরু করেন তিনি। তার আচরণে বিরক্ত হয়ে অনেকেই সেখান থেকে তরুণীকে চলে যেতে বলেছিলেন। অশ্বজিৎ জানিয়েছেন, তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তার চালক তাঁকে সরে যেতে বলেছিলেন। গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও ভাবেই দুর্ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি। অশ্বজিৎ আরও জানান, তার কাছ থেকে টাকা হাতানোর উদ্দেশ্যে এই গল্প তৈরি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন