আর্কাইভ থেকে ফিচার

গরমে সুস্থ থাকার কিছু দাওয়াই

সারাদেশে ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রা। দুপুরের লু বা চড়া রোদে অনেক সময় শরীর পানিশূন্য হয়ে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। হিট স্ট্রোকেও আক্রান্ত হন অনেকে। এ অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করবেন আর কী করবেন না, তার জন্য রইলো কিছু টিপস। 

দুপুরের চড়া রোদ এড়িয়ে চলাটাই শ্রেয় কিন্তু বাড়িতেও তো বসে তো থাকা যায় না। তবু দুপুর ১২টা থেকে ৩ টার মধ্যে যতখানি সম্ভব অফিসের মধ্যে বা ছায়ায় কাজ করুন। শরীরিক অসুবিধা হচ্ছে, এমন সব কাজ এ সময় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। 

দুপুরে বাড়িতে পর্দা দিয়ে রোদ আটকানো আর রাতের দিকে জানলা খুলে দিলে ঘরে আসবে কিছুটা প্রশান্তি।

কোনও ব্যক্তি গরমে অসুস্থ পড়লে বা তার হিট স্ট্রোক হয়েছে বুঝলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে, ততক্ষণ অসুস্থ ব্যক্তিকে ছায়ায় নিয়ে গিয়ে শুইয়ে রেখে ভিজে রুমাল, গামছা বা কাপড় দিয়ে চোখ মুখ মুছিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে শরীরে ও মাথায় পানি দিতে হবে।

পানিশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে কমপক্ষে তিন লিটার পানি পান করা জরুরি। পারলে ওআরএস বা ডাবের পানি, ঘোল, নানা রকম ফলের শরবত পান করলে শরীর থাকবে সতেজ ও সুস্থ।

দুপুর ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে ছায়ায় থাকাটা জরুরি। রোদে বেরোলে ছাতা, টুপি, রোদ চশমা ব্যবহার করতে হবে।

আঁটোসাঁটো পোশাক না পরে হাল্কা সুতির পোশাক পরলে গরমে আরামবোধ হবে।

ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নিরে শরীরে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।।
 
হাই প্রোটিন, তেলেভাজা, ফাস্ট ফুড, যে কোনও রকম রঙিন পানি এড়িয়ে চলতে হবে। গরমে খাবার দ্রুত পচে যায়। তাই বাইরের খোলা খাবার, কাটা ফলে এড়িয়ে যেতে হবে।

ঘাম হচ্ছে না, সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে বা অন্য কোনও রকম অস্বস্তি বোধ করলে নিজে থেকে ওষুধ খাওয়া যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন