কেকে’র মতোই গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মৃত্যু
মঞ্চে মন মাতানো সুরে গান গাইছিলেন ৩০ বছর বয়সি গায়ক পেড্রো হেনরিক। চারপাশে ঝলমনে আলোকসজ্জা। ব্রাজিলের ফেইরা দে সান্তানা শহরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পারফরম করছিলেন। যেখানে তাকে মঞ্চের একপ্রান্তে তার ‘ভাই সের তাও লিন্ডো’ নামের গানটি আবেগের সঙ্গে ভিড় করা দর্শকদের সামনে গাইতে দেখা যায়।
গান গাওয়ার মাঝেই দ্যুতি ছড়ানো চারপাশ অন্ধকারে ভরে ওঠে। পেড্রো অজান্তেই লুটিয়ে পড়েন। বুঝে ওঠার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান গসপেল গায়ক পেড্রো হেনরিক।
নিউইয়র্ক পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার সময় মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। রিপোর্ট অনুসারে, মনে করা হচ্ছে যে গায়ক হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই তুলনা করেছেন কেকে-র মৃত্যুর।
২০২২ সালে পারফর্ম কলকাতার নজরুল মঞ্চে করার সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে নির্মম মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। ঠিক একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হলো আবার!
লাইভ চলছিল অনুষ্ঠানের সময়। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, পেড্রো তার মাইক্রোফোনটি দর্শকদের সামনে ধরে গান গাইতে অনুরোধ করেন। তবে যখন তিনি মাইকটি ফের মুখের কাছে নিয়ে আসেন, তখন হঠাৎ করেই নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ সময় হঠাৎ করেই তিনি পেছনে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে এই গায়কের।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইনস্টাগ্রামে তার পারফর্ম্যান্সের সময় একটি সাদা-কালো ছবির পাশাপাশি গায়ককে একটি হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধার পোস্ট শেয়ার করেছেন অনুসারীরা।
প্রয়াত হেনরিক তার স্ত্রী সুইলান ব্যারেটো ও দুই মাস বয়সি কন্যা রেখে গেছেন। তার শেষকৃত্য হবে গায়কের জন্মস্থান পোর্তো সেগুরো শহরে। তবে তিনি সাও পাওলোর গুয়ারুলহোসে বসবাস করতেন।