দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া ফেরিঘাটে উপচেপড়া ভিড়
ঘরে ফিরছে মানুষ ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রীর চাপ আজ কিছুটা বেড়েছে। একই অবস্থা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে । আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পাড়ি দিতে ঘাটে আসছে হাজার হাজার মানুষ।
তবে ফেরি পারের অপেক্ষায় কোনো যাত্রীবাহী ও ঢাকামুখী বাস সিরিয়ালে দেখা যায়নি। কিন্তু লঞ্চে আসা যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ শোনা গেছে। অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, লঞ্চঘাটে আসার সময় পণ্য পরিবহনের জন্য জোর করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত মাহেন্দ্র ভাড়া নিচ্ছে অনেক বেশি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ২০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাটে দূরপাল্লার বাসের কোনো সিরিয়াল নেই। এবার ভোগান্তি ছাড়াই দক্ষিণবঙ্গের মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে।
অপর দিকে, বিআইডাব্লিউটিএর শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানা, এ রুটে আরও পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি দুই রুটে ৮৫ টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজার গাড়ি পারাপার করেছি। ১০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আমরাতো একসঙ্গে সবাইকে পার করতে পারবো না।
এসআই/