আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

কুসিক নির্বাচন: সিটির কেউই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হবে না

আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)নির্বাচনে ওই শহরে কর্মরত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যক্তিকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা হবে না। জানালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি উইং শাখার পরিচালক মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।

আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, কুসিক নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই শহরে কর্মরত কোনো ব্যক্তিকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা করা হবে না।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য উপজেলার থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এনে নির্বাচন করব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। আশা করি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকাবাসী আমাদের সহযোগিতা করবেন।

মো. শাহেদুন্নবী বলেন, আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনও তৎপর আছে। সম্প্রতি তফসিল ঘোষিত হয়েছে। প্রচার-প্রচারণার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। তার আগে কোনো প্রার্থী পোস্টার-লিফলেট প্রচার করবেন না।

আসছে ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ভোট। এ লক্ষ্যে ২৫ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোট গ্রহণ ১৫ জুন।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো কুসিকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।

২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিন গুণ। বর্তমানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

মেঘ হাসান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন