ডেথ ক্যালকুলেটর, বলে দিবে মৃত্যুর দিনক্ষণ সময় !
মৃত্যু নিয়ে ভাবছেন না এমন মানুষ মেলা ভার। প্রতি নিয়ত এক অজানা ভয় যেন আকড়ে আছে সকলকে ঘিরে।
গ্রিসে অতি প্রাচীন বিশ্বাস, কারও বাড়ির দরজার সামনে কোনো কারণে একটি খোলা ছাতা হঠাৎ করে উড়ে এসে পড়লে ওই বাড়ির কারও মৃত্যু আসন্ন। ইউরোপের বহু দেশের বিশ্বাস, কেউ যদি নিশুতি রাতে জনমানব শূন্য স্থানে কোনও মহিলাকে সাদা পোশাকে দেখে, তা হলে তার নির্ঘাত মৃত্যুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে জ্যোতিষরা নাকি হাত দেখে বলে দিতে পারে আয়ু আছে আর ঠিক কতদিন। সে ভবিষ্যতবাণী মিলুক আর নাই মিলুক, তবু আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার ইচ্ছায় মানুষ নানারকম কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দিয়েই থাকে।
তবে এখন ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি অনেক উন্নত। মানুষের বুদ্ধি নিয়েই মানুষকে টেক্কা নিতে কাজে নেমে পড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ প্রযুক্তিতে নাকি এমন যন্ত্র বানানো হয়েছে যা বলে দিতে পারে মৃত্যু ঠিক কবে ও কোন সময়ে হবে।
ডিজিটাল যুগে কত কিছুই তো আবিষ্কার হচ্ছে। রোবট বানিয়ে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চলছে সুপার-হিউম্যান তৈরির প্রস্তুতি। তার মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বানিয়ে ফেলেছে ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’। এটা এমন একটি ক্যালকুলেটর যা নাকি হিসেব করে মৃত্যুর দিন অবধি বলে দিতে পারে।
‘ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি’ এইআই সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছে ডেথ ক্যালকুলেটর। যার মৃত্যুদিন গণনা করতে হবে তার চাকরি, উপার্জন, পরিবার, আয়-খরচের হিসেব, অসুখবিসুখের ইতিহাস এমনকী তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন সব দিক দেখে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এইআই যন্ত্র হিসেব করে বলে দেবে ঠিক কবে ও কোন সময় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। তার আগে অবশ্য ওই ব্যক্তির ঠিকুজি-কুষ্ঠী এইআই সিস্টেমে আপলোড করতে হবে।
‘life2vec’ -এই অ্যালগোরিদমটি নাকি ওই বিশেষ সিস্টেমে ইনস্টল করে রেখেছেন ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা। এই অ্যালগোরিদমেই কাজ করবে এআই যন্ত্র। আগে থেকে সব ডেটা আপলোড করতে হবে সিস্টেমে। তারপর হিসেব করতে থাকবে যন্ত্র। আরও সঠিকভাবে মৃত্যুর দিন ও সময় গণনা করতে নাকি জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনাও বিশ্লেষণ করবে ওই যন্ত্র।
এ যন্ত্রে মৃত্যু দিন জেনে কারা উপকৃত হয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক রেজাল্ট দেবে এ যন্ত্র।