আর্কাইভ থেকে জাতীয়

অসত্য তথ্য নির্ভর সিপিডির রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী

ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও অর্থ পাচার নিয়ে সিপিডির রিপোর্ট কিছু অসত্য তথ্য নির্ভর। নির্বাচনের আগে তাদের প্রকাশিত রিপোর্ট জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা। বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিডির রিপোর্ট কিছু অসত্য তথ্য নির্ভর। সেটা ঠিক নয়। বিদেশি ঋণ উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ ভাগ যা সঠিক নয়। এটা ভুল তথ্য। এমন অনেক ভুল তথ্য থাকতে পারে। ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম হয়েছে যা অনেক আগেই প্রচার হয়েছে। কিছু যে অনিয়ম হয়নি তা নয়। কিছু অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু সব লোন সমন্বয় করে নির্বাচনের আগে তারা প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয়।

এর আগে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানায় বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে লোপাট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণসহ নানা ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে কেলেঙ্কারি বা অনিয়ম হয় সেগুলো অফিসিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদমাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিসিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করে ২০০৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশাল এ অর্থ দিয়ে কী হতে পারে সেটা আপনারা হিসেব করতে পারেন। আপনারা হিসেব করতে পারেন আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কত? সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত ব্যয় করছি। এ পরিমাণ দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, এ পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে; ব্যাংকে যে টাকা সেটা জনগণের টাকা সেটা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। সেই প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাতে নিয়ম কানুন বাস্তবায়ন করা ও সংস্কার করা জরুরি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন