আর্কাইভ থেকে এশিয়া

বান্ধবীকে পুড়িয়ে হত্যা, বিয়ে করতে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছিল খুনি!

ছোটবেলায় একই স্কুলে পড়তেন নন্দিনী(২৪)ও পাণ্ডি মাহেশ্বরী নামে দুই বান্ধবী।সেই থেকে দু’জনের বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে একটি তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানিতে একইসঙ্গে চাকরি করতেন দুজন।  বন্ধু নন্দিনীকে বিয়ে করতে একপর্যায়ে নারী  থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হন পাণ্ডি মাহেশ্বরী। নিজের নতুন নাম দেন ভেট্রিমারান। তারপরও যখন বিয়েতে নন্দিনী রাজী হয়নি এবং তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন তা মেনে নিতে পারেননি পাণ্ডি। রাগে আর ক্ষোভে নন্দিনীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ি নন্দিনীর জন্মদিনে  দাওয়াত করে তাকে বাসায় ডেকে আনেন। পরে সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে হাত-পা বেধে পেট্রোলে পুড়িয়ে হত্যা করেন।

ভারতের চেন্নাইয়ের উপকণ্ঠে কেলামবাক্কামের কাছে থালাম্বুরে এমনই হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভেট্রিমারান নামে রূপান্তরিত ওই যুবকের বিরুদ্ধে। আর নিহতের নিহতের নাম নন্দিনী (২৪)।

চেন্নাই পুলিশের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়,অভিযুক্ত ভেট্রিমারান বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নন্দিনীকে। তার জন্য রূপান্তরিতও হয়েছিলেন। সম্প্রতি ভেট্রিমারানের সন্দেহ হয়,অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয়েছেন নন্দিনী। আর সে জন্যই নন্দিনীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার ছিল নন্দিনীর জন্মদিন। তাকে বাসায় দাওয়াত দেন ভেট্রিমারান। নন্দিনী তার বাসায় গেলে সারপ্রাইজ দেওয়ার নাম করে চোখ বেঁধে দেন তিনি। হাতও বাঁধেন। এরপর ব্লেড দিয়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করেন। তাতেও শোধ মেটেনি ভেট্রিমারানের। একপর্যায়ে নন্দিনীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেন। স্থানীয়রা নন্দিনীর অর্ধপোড়া দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, নন্দিনী ও তার বন্ধু ভেট্রিমারান প্রতিবেশি ছিলেন। তারা একই স্কুলে একসঙ্গে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। থোরাইপাক্কামের একটি তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানিতে গত ৮মাস ধরে চাকরি করতেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন