আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পরিচয় মিললো সেই সন্তানের

প্রতিনিয়িত যেখানে খবর আসছে, বৃদ্ধ বাবা মাকে সন্তান রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে কিংবা রেখে যাচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে একটি ছবি, সন্তানের কাঁধে চড়ে বাড়ি ফিরছেন বাবা। গেলো মঙ্গলবার (৩ মে)
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঘটে এ ঘটনা।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের সুখিয়া গ্রামের আবদুল হেকিম ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরছেন ছেলের কাঁধে চড়ে। সন্তানের কাঁধে বাবার এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। 

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সুখিয়া সরকারবাড়ির বাসিন্দা আবদুল হেকিম। বয়স তাঁর ৭৫। দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিজনিত রোগে ভুগছেন তিনি। বয়সের কারণে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। তাই ঈদের দিন একমাত্র ছেলে দুলাল মিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের স্থানীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বয়োবৃদ্ধ পিতা আবদুল হেকিম কাদাময় রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারবেন না ভেবে নিজের কাঁধে নিয়ে নেন বাবাকে ছেলে দুলাল মিয়া। সন্তানের কাঁধে চড়ে ঈদগাহ থেকে গ্রামের মেঠো পথ ধরে বাড়ি ফিরছেন বাবা। এলাকার একজন এমন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন, যা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের মন্তব্যে লিখেছেন, এখনকার সময়ে এমন দৃশ্য বিরল। যেখানে প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনাম হচ্ছে সন্তানেরা পিতামাতাকে রাস্তায় ফেলে যাচ্ছেন কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সে সময় বয়োবৃদ্ধ পিতার প্রতি দুলাল মিয়ার এমন দায়িত্ব-কর্তব্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পিতা-পুত্রের সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত। যে পিতা একসময় সন্তানকে কাঁধে চড়িয়ে ঘুরিয়েছেন, সেই পিতার বার্ধক্যে ছেলে তাঁর দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করছেন।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন