ছোট পরিবারের কনসেপ্ট নিয়ে যা বললেন প্রিয়াঙ্কার মা
মেয়েরা নাকি তার মা’কে দেখে শিখে, তারই প্রমাণ দেখা গেলো বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জীবনে। কেরিয়ার ও পরিবার একই সঙ্গে সবসময় সামলেছেন এ অভিনেত্রী। আসলে তার এ শিক্ষা তিনি পেয়েছেন মা মধু চোপড়ার থেকে।
সম্প্রতি পরিবার নিয়ে একটা মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন মধু চোপড়া। প্রিয়াঙ্কার মা জানিয়েছেন, কেউ বাবা-মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে না ও তার হাতে থাকলে তিনি নিউক্লিয়ার পরিবারের কনসেপ্ট নস্যাৎ করে দিতেন।
রশ্মি উচিলের রেইজিং স্টারস বইয়ে তিনি বলেছেন, তার মেয়ে তার সাক্ষাৎকারগুলিতে সবসময় তার পরিবারের উল্লেখ করে, কারণ তাকে কেউ একজন নয়, একটি দল বড় করেছে। মধু তার কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন যখন প্রিয়াঙ্কা এবং তার ভাই সিদ্ধান্ত বড় হচ্ছিলেন এবং তার সন্তানরা মূলত আত্মীয়দের তত্ত্বাবধানেই বড় হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি সবচেয়ে গর্বিত মা এবং প্রিয়াঙ্কা আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয়, যার সম্পর্কে আমি কথা বলতে পছন্দ করি। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে অনেক গর্বিত। আমি অনেক অল্প দিয়েছি। ও আমাকে অনেক ফিরিয়ে দিয়েছে। তার কথায়, সন্তানের ওপর মায়ের প্রভাব ৯৫ শতাংশ, বাবা ও পরিবারের বাকি ৫ শতাংশ। প্রিয়াঙ্কা যখন খুব ছোট, তখন তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়। কৈশোরে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।
এক সাক্ষাৎকারে মধু প্রিয়াঙ্কাকে খুব ছোট বয়সে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এখনও যখন ভাবি তখন কেঁদে ফেলি এবং এখনও নিজেকে অপরাধী মনে করি। আমার দোষ এই যে, আমি তাকে একটা বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত নয়।
এর আগে আরও এক সাক্ষাত্কারে মধু জানিয়েছিলেন, বড় হয়ে ওঠার সময় তাদের জীবনে মধু যে অনুপস্থিত ছিলেন, তার কোনও সন্তানই কখনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। আমার মতে, নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি সেট-আপকে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়া উচিত।
তার কথায়, আমার ছেলে-মেয়েরা মাসি, মণি, মামা, কাজিনদের নিয়ে বড় হয়েছে। আমার কাছে পরিবারটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও তাই। প্রিয়াঙ্কা যে কোনও সাক্ষাত্কারে পরিবারের কথা বলেন। যদিও আমি সবসময় একজন কর্মজীবী মা ছিলাম, আমি সবসময় এটা দেখতাম যে বাচ্চাদের কখনও নিজেদের ভরসায় ছেড়ে যাব না। আমার ছেলে-মেয়েরা যৌথ পরিবার ব্যবস্থাকে ভালবাসে।
আমরা ফ্যামিলি গেট টুগেদার পছন্দ করি। আমার স্বামীর পাশে নয়টা বাচ্চা আর আমার পাশে নয়টা বাচ্চা। তুতো ভাইরা যখন এক হয়ে যায়, তখন তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের শেষ থাকে না। তারা এতটাই ঘনিষ্ঠ যে, আপনি কখনোই প্রকৃত ভাইবোনের কাছ থেকে কাজিনকে আলাদা করতে পারবেন না। বন্ধনটা এতই মজবুত। আমার পরও তারা একে অপরের জন্য থাকবে।