আন্তর্জাতিক

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২৪, বাড়তে পারে এ সংখ্যা

শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে জাপানে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোর কদমে উদ্ধারকাজ চলছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর অন্তত ১২৯টি আফটার শক হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন এর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানি সংবাদমাধ্যম কিয়োদো নিউজ জানিয়েছে, জাপানে সোমবারের ভূমিকম্পে একাধিক ভবন ধসে পড়েছে। একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি ছিল। তবে পরে সেটি তুলে নেয়া হয়েছে।

হাওয়াই-ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল জানায়, ভূমিকম্পের পরপরই ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা শহরে ১ দশমিক ২ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে। জাপান উপকূলে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের ৩০০ মিটারের (১৯০ মাইল) মধ্যে আরও বিপজ্জনক সুনামি আঘাত হানতে পারে। তবে মঙ্গলবার সকালে সেই সতর্কতা তুলে নেয়া হয়। এ দিন কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করছে।

ভূমিকম্পের পর জাপানের সামরিক বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। তারা খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে শুরু করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

কিশিদা আরও বলেন, গতকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে অনেক ভবন। এ কারণে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

ভূমিকম্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ককেও প্রভাবিত করেছিল এবং যাত্রীদের আটকে রেখেছিল। ভূমিকম্পের পর থেকে ওই এলাকায় বুলেট ট্রেন ও ফ্লাইট বাতিল করা হয়। তোয়ামা এবং কানাজাওয়া স্টেশনের মধ্যে হোকুরিকু বুলেট ট্রেনের চারটি ট্রেন মোট ১,৪০০ যাত্রী নিয়ে ১১ ঘন্টার জন্য স্থবির হয়ে পড়েছিল।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৩২ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। একাধিক শহরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, জাপানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য আমেরিকা প্রস্তুত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন