হরতালে সড়কে গণপরিবহন কম
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৬ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা হরতাল চলছে।
এদিকে ভোটের আগের দিন হরতালে সড়কে পরিবহন কম থাকলেও এর প্রভাব দেখা যায়নি জনজীবনে।
অপরদিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দল হরতালের পক্ষে কাউকে সড়কে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে প্রতিটি মোড়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, মৌচাক ও শান্তিনগর এলাকা ঘুরে এমন ধরনের চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার সড়কে অন্যান্য দিনের মতোই সাধারণ মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন। সড়কগুলোতে সব ধরনের যানবাহন নামতে শুরু করেছে। তবে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন সংখ্যার তুলনায় কিছুটা কম।
শাহবাগ যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা জালাল উদ্দিন নাম এক যাত্রী বলেন, আজকে সরকারি ছুটির দিন, এমনিতেই সকালে মানুষ রাস্তায় কম থাকে। তার ওপর আগামীকাল জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। ফলে রাস্তায় এমনিতেই ভিড় কম। তার ওপর হরতালের ঘোষণায় মানুষ অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হবে না। সে কারণে সড়কে ভিড় নেই বলে মনে করছি।
হরতালে সড়কে নামলে কোনো আতঙ্ক কাজ করে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আতঙ্ক তো কাজ করেই। বিশেষ করে বাসে উঠলে খুবই ভয় লাগে।
রামপুরা বাজারের ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, সকাল থেকে ডিউটি করছি। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি। হরতালের পক্ষে আমার চোখে কোনো মিছিল বা কোনো লিফলেট বিতরণ দেখেনি। আমার কাছে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এমনিতে ব্যক্তিগত গাড়ি কম। অন্যদিকে গণপরিবহনও কিছুটা কম। আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।
এদিকে হরতালের প্রথম দিনে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ওই সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। আগেও অগ্নিসন্ত্রাসের নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছিল।
গেলো ৪ জানুয়ারি এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ডাক দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
বিএনপির কর্মসূচির সমর্থনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও জামায়াতসহ আন্দোলনরত সমমনা দলগুলোও হরতাল পালন করছে।