‘ভোট বর্জন করুন,যেকোনো সময় সরকারের পতন হবে’
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে 'ডামি' ও ভাড়াটিয়া প্রার্থীদের 'ভোটার কেনার' অর্থ-উৎসবের প্রতিযোগিতা চলছে অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জন করার আহবান জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।নির্বাচনে জন-সম্পৃক্ততা না থাকায় আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া হয়ে ভোট কেনা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ জোটের শীর্ষনেতাদের।
শনিবার(৬ জানুয়ারি)দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন’ সফল করার লক্ষ্যে হরতালেল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।
জনগণকে উদ্দেশ্য করে ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন,‘আওয়ামী লীগ নির্লজ্জ ও বেহায়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই নির্বাচনে জন-সম্পৃক্ততা না থাকায় আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া হয়ে ভোট কেনা শুরু করেছে।’
জোটের নেতারা বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই আজ রাত থেকেই ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। তাই রাতের ভোট-ই আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র ভরসা। ভোট বর্জন করুন। সরকারের সময় শেষ। যে কোনো সময় পতন হবে।’
১২ দলীয় জোটে বাংলাদেশ এলডিপি ছাড়াও রয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, জাতীয় পার্টি (জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এনডিপি),বাংলাদেশ মুসলিম লীগ,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল(নুরুল) এবং বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু,জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মো. ফারুক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি আতাউর রহমান খান,বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আল মাসুদ হাসান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ।