ঈগল রক্ষার দিন আজ
ঈগলের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে ৮ গুণ বেশি। এদের আঁকড়ে ধরার শক্তি মানুষের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। অথচ এরা একটা সময় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই বিস্ময়কর পাখিদের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রচার করতে সারা বিশ্বে ‘ন্যাশনাল সেভ দ্য ঈগলস ডে’ পালন করা হয়।
‘জাতীয় ঈগল রক্ষা দিবসটি’ রিজফিল্ড ভিলেজ পার্কের স্থানীয় সম্প্রদায় এবং বার্গেন কাউন্টি অডুবন সোসাইটি দ্বারা একটি বিশেষ দম্পতি ঈগলকে উদ্ধার করার প্রয়াসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই ঈগল দম্পতির আবাসস্থল মারাত্মক ঝুঁকিতে ছিল।
এলিস এবং আল নামের ওই দু’টি ঈগল যখন ওভারপেক ক্রিককে উপেক্ষা করে রিজফিল্ডে তাদের বাড়ি তৈরি করেছিল, তখন স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে কিছু উদ্বেগ ছিল। এরপর একটি উন্নয়ন করপোরেশন ঈগলগুলোকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যাহোক, স্থানীয় সম্প্রদায় সরিয়ে দেয়ার সমাধান নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল এবং তারা এই ঈগল দম্পতিকে তাদের বাড়িতে রাখার অনুমতি দেয়ার জন্য একটি উপায় সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারা সফল! যদিও ‘ন্যাশনাল সেভ দ্য ঈগলস ডে’ মূলত ঈগলদের একটি নির্দিষ্ট সেটকে ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১০ জানুয়ারি এটি এখন পুরো বিশ্বে উদযাপন করা হয়!
দিবসটি উদযাপনের জন্য ঈগল দেখতে খুব ভোরে বের হওয়া যেতে পারে! ঈগলরা সকালে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সূর্যোদয় থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঈগলের শিকার ও খাওয়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া পরিবারের ছোট-বড়দের নিয়ে চিড়িয়াখানায়ও যাওয়া যেতে পারে।
ঈগল সম্পর্কে কিছু তথ্য:
ঈগল এক ধরনের বড় আকারের পাখি; এরা যথেষ্ট শক্তিধর, দক্ষ শিকারি। ঈগল সাধারণত বনে, ঘন জঙ্গলে বসবাস করে থাকে। পৃথিবীতে ৬০ প্রজাতির ঈগল দেখতে পাওয়া যায়। বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, মাছ, হাঁস-মুরগির ছানা খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে এরা। ঈগল কখনও ছোট পাখিদের সঙ্গে মেশে না বা ওড়ে না। ঈগল সর্বদা জীবিত প্রাণী খায়। মৃত বা পচে যাওয়া খাবার এরা খায় না।
একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। লম্বা হয় প্রায় ৩০-৩৫ ইঞ্চি। পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ঈগল সাড়ে ৪ কিলোমিটারের বেশি ওপরে উঠতে পারে। ঈগল ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। শীতকালে এরা তুলনামূলক কম শীত এলাকার দেশে চলে যায়। এরা জনমানব এলাকার বাইরে এবং কমপক্ষে ১০০ ফুট ওপরে গাছের ডালে বাসা তৈরি করে। প্রজাতি ভেদে ঈগল এক থেকে পাঁচটি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।
ঈগলের দৃষ্টিশক্তি মানুষের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। তিন মাইল দূরের বস্তুকেও তারা স্পষ্ট দেখতে পারে। ঈগল গড়ে ২০ বছর বাঁচে। খাঁচায় বন্দি এবং চিড়িয়াখানার ঈগলরা আরও বেশি দিন বাঁচে। ঈগল কান্না করতে পারে না ও সাঁতারও জানে না।