সরকারের বিপদ ধেয়ে আসছে: রিজভী
গেলো ৭ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনে’ গোটা বিশ্ব কিন্তু হাততালি দেয়নি; তারা মুচকি হেসেছে। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গেলো ৭ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনে’ গোটা বিশ্ব কিন্তু হাততালি দেয়নি; তারা মুচকি হেসেছে। এদেরতো মনুষ্যত্ব নেই। এই সরকার তো দুর্নীতির মহাসাগরে ভাসছে। তাদের সোনার তরী তো দুর্নীতিতে ভরা। দুর্নীতি হলো এই সরকারের ভূষণ। তারাই নাকি এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলবেন! আমরা অনেক নাটক-যাত্রার নাম শুনেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতো যাত্রার ঢংয়ের সংলাপ দেশবাসী আর মেনে নেবে না। জনগণ আর সইবে না।
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, চুরি-চামারির নির্বাচন করে এতো আহ্লাদিত হওয়ার কিছু নেই। চারদিকে চেয়ে দেখুন বিপদ ধেয়ে আসছে। সকল বিরোধী দলের নেতাকে বন্দি রেখে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছেন। আমরা-মামুরা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের যারাই হেরেছেন তারাও এখন বলছেন যে, প্রশাসনকে দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, আগে থেকেই ডিসিদের বলে দিয়েছে যে, সরকার এগুলো চায়। এ ধরনের বক্তব্য এখন আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারি আমলারাও বলছেন। এ সংক্রান্ত অডিও-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
রিজভী বলেন, এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হলো- বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠা করা। নির্বাচনের তামাশা দেখিয়ে তিনি আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখতে চান। বাকশালকে সফল করতেই তিনি এ ধরনের প্রতারণার নির্বাচন করেছেন। আজকে পুরোনো পোশাকে নতুন ভূত। দেখা যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাইন ধরে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এটা তো বাকশালেরই নিদর্শন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার যেন ভেবেছে তাদের পতন নেই। সেজন্যই বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে তো লেলিয়ে দিয়েছেই, সঙ্গে তাদের দলদাস পুলিশ প্রশাসনকেও লেলিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি। তবুও ডামি লাইন তৈরি করে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। অথচ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা কেউ ভোটার নয়। এগুলো বিদেশি পর্যবেক্ষককে দেখানো হয়েছে। এটা তো জঘন্য তামাশা। কোনো সভ্য দেশের স্বৈরশাসকেরাও এ ধরনের নির্বাচন করেছে কি না জানা নেই। রাশিয়া, চীন সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সেসব দেশে কি নির্বাচন হয়? এই দেশগুলোতে তো স্বৈরশাসক আছে। গণতান্ত্রিক দেশ ভারত সমর্থন দিলেও সেটা তারা তাদের স্বার্থেই দিয়েছে। কারণ, তারা আধিপত্য বজায় রাখতেই টার্গেটকৃত দেশে প্রতিভূ বসাতে চায়। দেশের জনগণ কি চাইল না চাইল সেটা বিবেচ্য নয়। শেখ হাসিনা হলেন ভারতের প্রতিভূ।