বাংলাদেশ

শপথ নিতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

শপথ নিতে বঙ্গভবনে গেছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে একে একে রাষ্ট্রপ্রধানের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন তারা। সন্ধ্যা সাতটায় নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন।

এ শপথের মধ্যে দিয়েই টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গড়তে যাচ্ছেন ইতিহাস।

নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি। পরে পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। এরপর তারা নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন তারা। পরে প্রধানমন্ত্রী নবনিযুক্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করবেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে বঙ্গভবন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘শপথ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১৩০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ অতিথিদের দাওয়াতপত্র পাঠিয়েছেন।’

জয়নাল আবেদীন জানান, ‘দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। সামনের সারিতে অতিথিদের কে কোথায় বসবেন তাদের নামের ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। একসঙ্গে শপথ নেয়ার সুবিধার জন্য বসানো হয়েছে মাইক স্ট্যান্ড। শপথ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গভবনের মাঠে থাকছে আপ্যায়নের ব্যবস্থা।

গেলো ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদিন ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ভোটগ্রহণ শেষে ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। ঘোষিত ফলাফলে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২২টি আসন পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করে।

ভোটের তিন দিন পর গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নেন সংসদ সদস্যরা। সেদিন বিকেলেই ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী। আর ১১ জন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৩০ জন স্থান পাননি নতুন মন্ত্রিসভায়। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন ১৪ জন।

নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলেই ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি গঠিত পুরনো সরকারের দায়িত্ব শেষ হবে। যারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন, মন্ত্রিসভার শপথের আগেই তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন