চট্টগ্রাম টেস্ট : দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা
শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। প্রথম দিনের (রোববার) ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে, অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অপরাজিত ১১৪ রানে এই সংগ্রহ তোলে লঙ্কান সিংহরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল দশটায় শুরু হয় খেলা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংস শুরু করেন দিমুথ করুনারত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দো। দলীয় ২৩ রানে অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে এবং দলীয় ৬৬ রানে ওশাদা ফার্নান্দোকে ফেরান অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
এরপর ৯২ রানের বড় জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন কুশল মেন্ডিস ও অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এর মধ্যেই পার হয়ে যায় দ্বিতীয় সেশন।
তবে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনের প্রথম বলেই আঘাত হানেন বাহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৫৪ রান করা মেন্ডিসকে ফেরান তিনি। আর দলীয় ১৮৩ রানে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ধনাঞ্জায়া ডি সিলভাকে ফেরান সাকিব আল হাসান। তবে এরপর আর বাংলাদেশি বোলারদের কোনো সুযোগ দেননি ম্যাথুস ও ছয়ে নামা দিনেশ চান্দিমাল। অপরাজিত ৭৫ রানের জুটি গড়েই মাঠ ছাড়েন তারা।
এই টেস্টের প্রথম দিন ২ বার ভুল রিভিউ নিয়েছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারিতেই ইতিহাসের সব থেকে হাস্যকর রিভিউ নেয়া নিয়ে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিলেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মুমিনুল হককে। কিন্তু এরপরও দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসেনি । পরিসংখ্যান বলছে, টেস্ট ক্রিকেটে রিভিউ ব্যর্থতায় সব থেকে এগিয়ে থাকা দলটার নাম বাংলাদেশ।
২০২২ সালের নিউজিল্যান্ড সফরটা মূলত আলোচিত মাউন্ট মঙ্গানুইতে বিজয়গাথার জন্য। সেই সঙ্গে আরো একটি ব্যাপার সেবার আলোচনায় এসেছিল। ইবাদাতের বলে রস টেইলরের বিরুদ্ধে নেয়া বাংলাদেশের একটি রিভিউ স্বীকৃতি পেয়েছিলো ইতিহাসের সব থেকে হাস্যকর রিভিউ হিসেবে।
এবার ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও একই চিত্র। শরিফুলের লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বলটি আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ চান ক্যাপ্টেন। ফলাফল নট আউট।
২০২১ সাল পর্যন্ত এক হিসেব বলছে, রিভিউ সফল হওয়াতে সব থেকে পিছিয়ে থাকা দলটার নাম বাংলাদেশ। ২০২১ পর্যন্ত ৭৮টি রিভিউতে টাইগাররা ব্যর্থই হয়েছে ৬০বার।
বাংলাদেশে রিভিউ ব্যর্থতার দিনে, লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান। ১১৪ রানে অপরাজিত আছেন ম্যাথিউস। আর ৩৪ রানে ব্যাট করছেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। একটি করে উইকেট সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের।
হাসিব মোহাম্মদ