আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হাত ফিরে পেলেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অপারেশন শেষে আসামির দায়ের কোপে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া সেই পুলিশ কনস্টেবল এখন শঙ্কামুক্ত। জানিয়েছেন চিকিৎসক।

গেলো রোববার (১৫ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে বিকেল ৫টা থেকে টানা ১০ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে কনস্টেবল জনি খানের হাতের কবজি জোড়া লাগানো হয় বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালটির অপারেশন্স ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার পরিচালক ডা. মো. শহিদুল্লাহ।

ডা. মো. শহিদুল্লাহ জানান, অপারেশনটি খুবই জটিল ছিল। একটা মানুষের সম্পূর্ণ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া হাতে অনেকগুলো অংশ থাকে, সেগুলোকে আলাদা করে সিরিয়ালি বের করতে হয়েছে। এরপর ৮ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত অপারেশনটি করতে হয়েছে। এর আগে অপারেশন পূর্ববর্তী আরও এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, রোগী এখন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত। তার হাতের স্বাভাবিক রং চলে এসেছে। নার্ভ যেগুলো জোড়া দেয়া হয়েছে, সেগুলোরও ফাংশন চলে আসতে শুরু করেছে। হাতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় হাতেও উষ্ণতা চলে এসেছে।

এখন পর্যন্ত এমন যেসব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আশা করা হচ্ছে, তিনিও শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।
গেলো ১৫ মে সকালে মামলার আসামিকে ধরতে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল তার বাড়িতে যায়। অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক মুজিবুর রহমান, কনস্টেবল জনি খান ও শাহাদাত হোসেন।

বাড়িতে ঢুকে অভিযান শুরুর পর আসামি কবিরকে প্রায় ধরে ফেলেছিল পুলিশ সদস্যরা। এসময় কবির আহমদ কনস্টেবল জনি খানের বাম হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারে। এতে তার বাম হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনার পর কবির পালিয়ে যায়। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে মামলার বাদি আবুল হোসেন কালুও ছিলেন। আসামি কবির যাবার সময় তাকেও দা দিয়ে কোপ মারেন। এতে আবুল হোসেনও আহত হন।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন