গাজা যুদ্ধের শততম দিন আজ, ২৩ হাজার ৮৪৩ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের শততম দিন আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি)। গেলো ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় ১০০ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আর এই সময়ে আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩১৭ জন। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হয়, হামলার ঘটনায় তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল হামাস। সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় আকাশপথে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানে নামে দখলদার বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্য।
টানা ছয় সপ্তাহ সংঘর্ষের পর গেলো ২৪ নভেম্বর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। প্রথমে ৪ দিন বিরতি দিয়ে বন্দী বিনিময় চুক্তি হলেও পরে তা দুই দফায় আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়। সাময়িক বিরতির সময় ইসরায়েল থেকে জিম্মি হওয়া বন্দিদের মধ্যে বেশকিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের চেয়ে তিনগুণ বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পায়। পরে যুদ্ধবিরতি শেষে ফের ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
যুদ্ধের শততম দিনে গাজার রাফাহ কুয়েতি হাসপাতালের চিকিৎসক সুহাইব আল-হামস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ১০০ দিন কীভাবে কেটে গেল? গাজাবাসী এই সময়গুলো তিক্ততার সঙ্গে, শহীদদের সঙ্গে, আহতদের নিয়ে সময় পার করেছে। তারা বেদনা, নিষ্ঠুরতা এবং দুঃখের দৃশ্য নিয়ে পার করেছে।’ তার কথায়, ‘শুধু বাড়িঘরই নয়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলেরও ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছি। ইসরায়েল বোমা হামলা করেছে হাসপাতাল, রাস্তা, মেডিকেল দল বা অ্যাম্বুলেন্স সবকিছুর ওপর। তারা কোনোকিছু বাদ দেয়নি।’
এদিকে, যুদ্ধের ১০০তম দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের অভিযান কেউ বন্ধ করতে পারবে না।’ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে বিজয় অর্জন থেকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যা করা প্রয়োজন, তা করবো।