যুবলীগ নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এমপি মোরশেদ আলম
নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা শাহিদুজ্জামান পলাশকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন নোয়াখালী- ২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আলহাজ মোরশেদ আলম। একই সঙ্গে জঘন্যতম এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে মোরশেদ আলম বলেন, আমি নিহত পলাশের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। খুনি যে দলেরই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি কোন নিরীহ লোক যেন হয়রানি না হয় সেই ব্যপারে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানান মোরশেদ আলম।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর নোয়াখালী- ২ আসনের সংসদ সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মোরশেদ আলম জানান, তিনি গত ১০ বছর নোয়াখালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন।
গতকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি ) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহিদুজ্জামান পলাশকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব মির্জানগর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহেদুজ্জামান ওরফে পলাশ (৩৫) পূর্ব মির্জানগর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে কে বা কারা শাহেদুজ্জামানকে খুন করেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
পলাশের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিজবাড়ির আঙিনায় রক্তাক্ত অবস্থায় পলাশের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। তার কপাল ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কে বা কারা শাহেদুজ্জামানকে খুন করেছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।