পঞ্চগড়ে কমেছে তাপমাত্রা বেড়েছে শীত
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গেলো এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
গতো কয়েকদিনের তুলনায় রোববার (১৪ জানুয়ারি) দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। এ জেলাটিতে গেলো ৭ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। ফলে সূর্যের কাঙ্খিত উত্তাপ না থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পুরো জেলা জুড়ে। পৌঁষের শেষে শীত যেন কাহিল করেছে উত্তরের এ জনপদের মানুষজনকে। সন্ধ্যার পর থেকেই ফাঁকা হয়ে যায় হাট-বাজার ও পথঘাট। রাতভর বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
এদিন সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রীতে ওঠানামা করছে । এই শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে হিম শীতল নদীর পানিতে নেমে পাথর বালি তোলার কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের জাবুরীদুয়ার এলাকার বালি শ্রমিক ইসমাইল হোসেন বলেন, তীব্র শীতে নদীতে নেমে বালি তুলছি। এতে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা হাজিরা পাই। কাজ শেষে বাজার সদাই করে পরিবারের জন্য নিয়ে যাই। একদিন কাজ না করলে পরদিন চুলা জ্বলেনা। পেটের দায়ে নদীতে নেমে কাজ করতে হয়। কি করবো পেটের খিদা তো আর শীত মানেনা।
এদিকে এই শীতে বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে দুঃচিন্তায় দিন কাটছে স্বজনদের। তীব্র শীতে জ্বর সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া সহ নানা শীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। জেলার হাসপাতাল গুলোতে গড়ে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ বর্হিবিভাগে শীত জনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়া গড়ে অন্তত ৪ শতাধিক রোগী হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন শীতবাহিত রোগে। জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুব উল আলম বলেন, এই শীতে বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বাসি খাবার দেয়া যাবেনা। সব সময় গরম খাবার দিতে হবে। এছাড়া শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চলতি মাসে আরো একটি শৈতপ্রবাহ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।