আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্ট : শ্রীলঙ্কাকে টপকে গেলো বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের করা ৩৯৭ রানের জবাবে স্বাগতিকরাও লড়েছে সমানতালে। সাগরিকার ব্যাটিং উইকেটে প্রতিপক্ষের করা রানের পাহাড় অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। 

উদ্বোধনী জুটি থেকেই দুর্দান্ত ছিলো স্বাগতিক ব্যাটাররা। তামিম-জয়ের ১৬২ রানের জুটির পর মাঝে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে স্বাগতিক শিবিরে। সমান ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক। 

তবে সেই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠেন দুই নির্ভারযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিম এবং লিটর কুমার দাস। তাদের দুইজনের ১৬৪ রানের পার্টনারশিপে ভর করে টাইগাররা এখন নিশ্বাস ফেলছে সিংহের ঘাড়ের উপর। 

চতুর্থ দিনের (বুধবার) শুরুতে আকাশ মেঘলা থাকায় নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর শুরু হয় খেলা। তাতে অবশ্য কোনো প্রভাবই পরে নাই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে। উল্টো বৃষ্টি আর্শীবাদ হয়ে এসেছে স্বাগতিকদের শিবিরে। 

মুশি তুলে নিলেন তার ক্যারিয়ারের ২৬তম অর্ধশতক। বিপরিতে লিটন তোলেন দ্বাদশ ফিফটি। কিন্তু ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তখনো লিটন কুমার দাসের ব্যক্তি সংগ্রহ ৮৮ রান। মাত্র ১২ রান করলেই ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতক করবেন তিনি। 

কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর উইকেটে এসেই নিজেকে বির্সজন দিলেন লিটন। কুশান রাজিথার উইকেটের বাইরের বল চার্জ করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন দাস। আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

অবাক করেছেন তামিম ইকবালও। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তৃতীয় দিন (মঙ্গলবার) ১৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। চতুর্থ দিন (বুধবার) ব্যাট করতে নামেন তিনি। কিন্তু আগের করা ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের সাথে আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি তিনি।   

কুশান রাজিথার শিকার হয়ে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। তামিমের ফিরে যাওয়ায় টেস্টে ব্যক্তিগত ৫  হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি তিনি। কারণ এই রান করতে তার প্রয়োজন ছিলো মাত্র  ১৯ রান। 

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন