আন্তর্জাতিক

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ৩৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী

ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে একটি অভিবাসী বোঝাই নৌকা ডুবে গেছে। এই ঘটনায় ৩৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। গেল ছয়দিন ধরেই তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিউনিশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো সপ্তাহে (১১ জানুয়ারি) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করে অভিবাসী বোঝাই নৌকাটি। এরপর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা।

কিন্তু রাত ১০টার দিকে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন বা চারজন ছাড়া নৌকার যাত্রীরা সবাই তিউনিশিয়ার স্ফ্যাক্স অঞ্চলের এল হেনচা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের বয়স প্রায় ১৩ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

বিষয়টি উপকূলরক্ষীদের জানানো হলে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান শুরু হয়। কোস্টগার্ডের জাহাজ ও প্লেন ছাড়াও ওই এলাকায় চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে তল্লাশির কাজে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটি ইতালির লাম্পেদুসায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু কোনো খোঁজ না মেলায় সেটি ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করছে এনজিওগুলো। এমন অবস্থায় নিখোঁজ অভিবাসীদের দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে এল হেনচা গ্রামে বিক্ষোভ শুরু করেছেন আত্মীয়-স্বজনরা।

গেলো সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গেলো সপ্তাহে লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আরও একটি নৌকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নৌকাটিতে ৩৫ থেকে ৪৬ জন যাত্রী ছিল।

জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, গেলো শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মাল্টা উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা কাঠের নৌকাটিকে সবশেষ শনাক্ত করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স’র একটি বিমান। কিন্তু এখনও সেটার কোনো সন্ধান মিলছে না।

সংঘাত, সংঘর্ষ ও দারিদ্র্য পেছে ফেলে উন্নত জীবনের খোঁজে ইউরোপে পৌঁছাতে চাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়ার পূর্ব উপকূল ও লিবিয়া।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টায় ২০২৩ সালে অন্তত ২ হাজার ২৭০ জন মানুষ ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছে। সংখ্যাটি তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন