আবারও করোনা টিকা দেয়ার নির্দেশ
ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় দেশে আবারও করোনা টিকা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদিও বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ (তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরেই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ লক্ষ্যে সাত দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় (ফাইজার আরটিইউ) এবং বুস্টার ডোজ (তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি) ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদুর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবর্তী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৮টি কেন্দ্রে করোনা টিকার ৩য় এবং ৪র্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল।
পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে কোডিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি করোনা টিকা প্রয়োগ শুরু করে বাংলাদেশ।