আন্তর্জাতিক

উন্মুক্ত হলো বিশ্বের উচ্চতম ঝুলন্ত মসজিদ

বিশ্বের উচ্চতম ঝুলন্ত মসজিদ উন্মুক্ত করে দিয়ে রেকর্ড গড়েছে সৌদি আরব। উচ্চতম ঝুলন্ত মসজিদ হিসেবে এরই মধ্যে মক্কার এ স্থাপনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।

রোববার (২১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা গালফ নিউজ’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৩ মিটার বা ১৫৮৪ ফুট উঁচুতে শ্বাসরুদ্ধকর জায়গায় অবস্থিত এ মসজিদ থেকে পবিত্র কাবা এবং মক্কার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থানগুলোর অতুলনীয় দৃশ্য দেখা যাবে। জাবাল ওমর মক্কা হোটেলের দুটি টাওয়ারের মাঝে সংযোগকারী ঝুলন্ত সেতুতে অবস্থিত প্রার্থনা কক্ষটি কেবল একটি প্রকৌশল কীর্তিই নয়, বরং এটি স্থাপত্য শিল্পের বিস্ময় এবং সৃজনশীলতারও প্রমাণ।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে ৬৫০ টন ওজনের ইস্পাতের এ সেতু। প্রাথমিকভাবে ভূমি থেকে ৩১২ মিটার উঁচুতে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জাবাল ওমর মক্কা হোটেলের ৩৬,৩৭ এবং ৩৮ তলা জুড়ে নির্মাণ করা হয় টুইন টাওয়ারকে সংযোগকারী এ সেতু।

৫৫০ স্কয়ার মিটার প্রশস্ত মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ৫২০ জন। মসজিদটির ভেতর আরব ও ইসলামিক সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চিরায়ত আরব সংস্কৃতির সঙ্গে মসজিদটিতে আধুনিক বিলাসবহুল শৈলীরও সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে।

কাবা-শরীফ,-বিশ্বের-উচ্চতম-মসজিদ

ইসলামি ক্যালিগ্রাফিতে আল্লাহর নাম দিয়ে সাজানো হয়েছে মসজিদের ভেতরটা। সমৃদ্ধ ইসলামিক সংস্কৃতির পরিচয় ফুটিয়ে তুলবে এর নানা নকশা।

মসজিদটিতে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা পাবেন প্রশান্তিতে ভরা আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। ফজরের নামাজের সময় মুসল্লিরা অবলোকন করতে পারবেন পবিত্র মক্কায় সূর্যোদয়ের দৃশ্য। এ ছাড়া সূর্যাস্তের দৃশ্যও এ মসজিদ থেকে দেখা যাবে।

মক্কায় আছে গ্র্যান্ড মসজিদ বা মসজিদুল হারাম আর মদিনায় মসজিদের নববী এবং নবীজি (সা.)–এর সমাধি। সারা বিশ্বের মুসলিমেরা গ্র্যান্ড মসজিদে নামাজ পড়তে যান। হজ ও ওমরাহ পালনে আসা মুসল্লিরা ছাড়াও মদিনায় অবস্থিত মহানবী (সা.)–এর রওজা শরিফ জিয়ারতে যান অনেকেই।

প্রায় ছয় মাস আগে শুরু হওয়া এবারের মৌসুমে ওমরাহ বা ভ্রমণের জন্য প্রায় ১ কোটি মুসলমান সৌদি আরবে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছে দেশটির সরকার। ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরব সম্প্রতি ওমরাহ পালনের জন্য দেশটিতে আসতে ইচ্ছুক মুসলিমদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে। ভিসাধারী ব্যক্তিদের স্থল, নৌ ও বিমান—সব পথেই সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন