দেশজুড়ে

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা

গেলো ৭ জানুয়ারি জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর-১ আসনে সংসদ নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী ছিলেন। নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক ১ লাখ ৯ হাজার ভোট পেয়ে জয় লাভ করে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী পরাজয়ের পরপরই বিভিন্ন ওয়ার্ড মহল্লায় তার নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভেতরে  প্রবেশ করে আনোয়ার নামের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে ফিল্মি স্টাইলে পেটান ফরহাদ শিকদার নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা।

রোববার (২১ জানুয়ারি) নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম।

জানা গেছে, রতনপুর এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলের অফিস রয়েছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে অফিসে বসে আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী সদস্য শামসুল ইসলাম মিলন, মনির, বাদশাসহ আরও অনেকে আলাপ আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ করে অফিসের ভেতরে মৌচাক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সদস্য ফরহাদ সিকদার হাতে লোহার পাইপ নিয়ে প্রবেশ করে ফিল্মি স্টাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালায়। আর এ নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য ফরহাদ শিকদার জানান, মারামারির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আমাদের মন্ত্রী ভালো লোক। আমার ইউনিয়নে আমি শান্তি চাই।

নির্যাতনের শিকার আনোয়ার বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করেছি বলেই লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করা হয়েছে। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় আমাকে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল জানান, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।

ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, মারামারির ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন