আজ শেষ হচ্ছে মেডিকেল ভর্তির আবেদন
এ বছর মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএসে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন চলছে। আবেদনের শেষ দিন ২৩ জানুয়ারি। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২৪ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে আবেদনের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ২০২৩ সালে এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান ও ২০২১ সালে এসএসসি, ‘ও’ লেভেল বা সমমান অথবা ২০২২ সালে এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান ও ২০২০ সালে এসএসসি, ‘ও’ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এ ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে এসএসসি, ‘ও’ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রার্থীকে এসএসসি, ‘ও’ লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান দুটি পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ৯ থাকতে হবে। উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, ‘ও’ লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। আর এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তিনি। প্রার্থীকে এইচএসসি এ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ থাকতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী শিক্ষার্থীকে টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আনলাইন ফরম পূরণের যাবতীয় নিয়ম এবং ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে টেলিটকের এই http://dgme.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এই www.mefwd.gov.bd ওয়েবসাইটে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এই www.dgme.gov.bd ওয়েবসাইট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে।
প্রার্থীকে আবেদনের সময় 300 x 300 পিক্সেল মাপের একটি রঙিন ছবি (jpg) আপলোড করতে হবে। ফাইলের সাইজ 100kb–এর বেশি হওয়া যাবে না। ছবি হতে হবে স্ক্যান করা বা ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা। 300 x 80 পিক্সেল মাপের স্ক্যান করা নিজের একটি স্বাক্ষর (jpg) আপলোড করতে হবে। এ ফাইলের সাইজ 60kb–এর বেশি হওয়া যাবে না। এ দুটি কম্পিউটার বা পেনড্রাইলে সংরক্ষণে রেখে দিতে হবে।
ইংরেজিতে প্রার্থীর জেলা, বর্তমান ঠিকান, স্থায়ী ঠিকানা লিখিতভাবে সংরক্ষণে রাখতে হবে নিজের কাছে। ভর্তি ইচ্ছুক মেডিকেল কলেজগুলোর নাম পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়ে লিখতে হবে। কেননা, পছন্দক্রম একবার নির্বাচন করা হলে আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
প্রার্থীর যদি এসব তথ্য-উপকরণ প্রস্তুত থাকে তাহলে টেলিটকের এই http://dgme.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম করতে পারবেন। সেখানে ছবি ও স্বাক্ষর আপলোডের পর User ID নম্বর দেখা যাবে। আর সেই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করে রাখতে হবে প্রার্থীকে।
প্রসঙ্গত, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
জানা যায়, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৩৭৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।