প্রতিদিন ৫০০ টিকিট হাতিয়ে নিতো চক্রটি, সহায়তা করতো ট্রেনকর্মীরা
প্রতিদিন রেলের ৫০০ টিকিট অনলাইন ও সরাসরি হাতিয়ে নিতেন। পরে সেগুলো তারা চড়া দামে বিক্রি করা হতো। চক্রটির সদস্যরা প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। এই চক্রের সদস্যদের সাথে কাউন্টারম্যান, ট্রেনের নিরাপত্তা কর্মীদের একটা বড় যোগসাজস রয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূলহোতা উত্তম ও সেলিমসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ চক্রের মূলহোতাদের সাথে যারা কালোবাজারিতে জড়িত তাদের অনেকে কুলি, হকার ও বিভিন্ন পেশায় জড়িত। তবে তাদের কেউ কেউ ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে সংসার চালাতেন।
কারও নামে ছয় থেকে সাতটি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে জেল খেটেছেন কিন্তু জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ করেন। ফলে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয় না।
প্রসঙ্গত, অনলাইনের টিকিট কারসাজি করে হাতিয়ে নিতে সহায়তা করতেন রেলের কাউন্টারম্যানরা।
আই/এ