আন্তর্জাতিক

গাজায় গণহত্যা বন্ধের আদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। রায়ে ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় অভিযান বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেয়া হয়।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা গণহত্যা মামলার শুনানিতে এ রায় দেন।

এদিকে রায়ে আইসিজে এর প্রধান বিচারক বলেন, এই মামলায় বিচাররের ক্ষমতা একই সাথে রায় দেয়ার ক্ষমতা এ আদালতের রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রায় পড়া শুরু হয়। রায়ে মামলা বাতিলে ইসরায়েলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

মামলার শুনানির সময় আদালতের ১৭ জন বিচারকের মধ্যে ১৬ জন বিচারক উপস্থিত ছিলেন। বিচারক রবিনসন আইসিজে এর প্রধান বিচারক ডনগুকে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে  পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

আদালত ইসরাইলকে গণহত্যা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গণহত্যা করবে না।  একইসঙ্গে গণহত্যা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

আদালত বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে গাজায় বিপুল সংখ্যক মৃত্যু ও আহত হয়েছে।

এদিকে আদালত অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতীর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদন খারিজ করেছে।

আদেশে আদালত, ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠানো জরুরী মানবিক সহায়তা যাতে পৌছাতে পারে সেটিও  নিশ্চিত করতে বলেছেন।

একই সাথে আদালত বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েল কি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি যেন অবশ্যই আদালতকে অবহিত করে।

সবশেষে আদালতে ১৭ জন বিচারকের বেশিরভাগ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে,  ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধে , তাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে  ইসরায়েলকে যতখানি কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব সেটি নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, এটি গাজায় গণহত্যা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চূড়ান্ত রায় নয়। এটি আসতে কয়েকবছর লাগতে পারে বলে আদালত জানিয়েছে। তবে আদালত প্রথামিকভাবে এমন আদেশ এ কারণে  প্রদান করেছেন  যাতে বিশ্ববাসী বুঝতে পারেন, আদালত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনা  দক্ষিণ আফ্রিকার মূল অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। একই সাথে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক আদালত কতৃক একটি আদেশ পেতে পারেন।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন