আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মা-সন্তান হত্যাকান্ডে দুজন আটক

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বহুল আলোচিত শিশু সন্তানসহ মা হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারীসহ সহযোগিকে আটক করে জামালপুর র‍্যাব-১৪।  জানালেন র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডর স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

আজ বুধবার (২৫ মে) দুপুরে রৌমারী অফিসার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে্ এ তথ্র জানানো হয়।

আটকৃতরা হলেন, নিহত হাফসা আক্তার হারেনা (২৭)-র ভাসুর মূল পরিকল্পনাকারী চাঁন মিয়া এবং উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জফিয়ালকে রৌমারী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে র‍্যাব।

আশিক উজ্জামান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে রোববার ২২মে নিহত হাফসা আক্তার হারেনার বাবা হারুন উর রশিদ বাদি হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর র‍্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। পরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামীদের চিহ্নিত করে অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। গত ২৪ মে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে র‍্যাবের একটি দল জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জফিয়ালকে আটক করে। তার দেয়া তথ্য মতে, রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে এ হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত মূল পরিকল্পনাকারী নিহত হাফসা আক্তার হারেনার ভাসুর চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন ভিকটিম হাফসা আক্তার হারেনা তার অসুস্থ ছেলে ৫পাঁচ বয়সী হাবিবের চিকিৎসা শেষে কুড়িগ্রাম হতে বাড়ি ফেরত আসে। পথিমধ্যে রৌমারী বাজার হতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও একটি ফ্লাক্স কিনে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে নির্জন এলাকায় পেঁৗছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামীরা হাফসা আক্তার হারেনা এবং তার শিশু সন্তানকে জোর পূর্বক রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর গ্রামের জনৈক আব্দুর সবুর মিয়ার পুকুরের পূর্ব পাড়ে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করে। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। আটক আসামীদেরকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, গেলো ২১ মে শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর নামক এলাকায় বাবার বাড়ির এক প্রতিবেশীর পুকুর পাড়ের ধান ক্ষেত থেকে গলা কাটা অবস্থায় হাফসা আক্তার হারেনা এবং পাশে পাঁচ মাস বয়সের শিশু সন্তান হাবিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে তারও মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত হাফসা আক্তার হারেনার বাবা বাদি হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মেঘ হাসান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন