আইন-বিচার

আপিলে জামিন পেলেন ড. ইউনূস

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন দেয়া হয়েছে তাকে।

আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) ১০টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন ড. ইউনূস, সেই সঙ্গে জামিন আবেদন করেন।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তার জামিন আবেদনও মণ্জুর করেন। জানালেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গেলো ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।

তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান তারা। সেই সময়সীমা শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন