আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

টালিউডের আরেক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

টালিগঞ্জের অভিনেত্রীদের রহস্যজনক মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশা দে মজুমদারের পর এ বার টলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তার পাটুলির বাড়ি থেকে।

আজ শুক্রবার (২৭ মে) সকালে পাটুলি বাড়িতে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।সকালে বেডরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। সকালে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে মুঞ্জুষা ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়।

পরিবার সূত্রে খবর, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। তার মায়ের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। তার জেরেই আত্মহত্যা। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পরিবারের তরফেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।ময়নাতদন্তের জন্য আজই পাঠানো হবে দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছেন বহু দিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। বিদিশার মৃত্যুর ঠিক দু’দিনের মাথায় তার বন্ধু মঞ্জুষার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কয়েক দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে বিনোদন জগতের তৃতীয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা এটি। এর আগে গরফায় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার মডেল বিদিশারও ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজার থেকে। দু’টি ঘটনাতেই মৃ্ত্যুর নেপথ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মঞ্জুষার মৃত্যুর নেপথ্যেও তেমন কোনও ঘটনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পরিবার সূত্রে খবর, দিন তিন-চারেক আগে পাটুলিতে বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবারও ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। সে দিন তার স্বামী তাকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু মঞ্জুষার মা তার জামাইকে বলেন, কিছু দিন মেয়েকে বাপেরবাড়িতে রেখে যেতে। এরই মধ্যে বুধবার বিদিশার মৃত্যুর খবর পান তার বন্ধু মঞ্জুষা। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকেন। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, পল্লবী দের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন