বনভূমি পুনরুদ্ধারে সরকার আন্তরিক
অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি বনভূমি পুনরুদ্ধার, পাহাড় ও টিলা কর্তন রোধ, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
রোববার (২২ নভেম্বর ) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিবগণ, অধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ এবং দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনারগণ বক্তব্য রাখেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, নদীদূষণ-সহ সার্বিক পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সহ নদীনালা, জলাশয় পুকুর ভরাট রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবেশ সুরক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব জনগণের সামনে উপস্থাপন এবং জনগণকে সচেতন করছে সরকার। জনগণকে এভাবে সম্পৃক্ত করে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার মতো পরিবেশ সুরক্ষায়ও আমরা সফল হবো।
পরিবেশ মন্ত্রী বনভূমি সংরক্ষণের নিমিত্ত সংরক্ষিত বন ঘোষণার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের অনুরোধ জানান। মন্ত্রী এসময় উপকূলীয় অঞ্চলে বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় বিভাগীয় কমিশনারগণ সকল প্রকার পরিবেশ দূষণ ও সরকারি বনভূমির অবৈধ দখল রোধ ও পুনরুদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এস