মামাতো বোন-মামি ও মামাকে হত্যা করে ভাগ্নে!
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাবা-মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিজ বাড়িতে মামা-মামী ও মামাতো বোনকে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করার ঘটনায় জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের দায়স্বীকার।
বুধবার বিকেলে (৩১ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বিপিএম পিপিএম বার প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- তাড়াশ পৌর এলাকার কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)।
গেলো মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে তাড়াশ থানায় বাদী হয়ে নিহত স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরই সূত্র ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি ও তাড়াশ থানা পুলিশের একটি চৌকসদল ট্রিপল মার্ডারের সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজিব ভৌমিককে আটক করে।
হত্যার সঙ্গে জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথের ছেলে।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে রাজিব ভৌমিক জানান, নিহত মামা বিকাশ চন্দ্র সাহা ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের সঙ্গে মাছের খাদ্যের ও স্টক ব্যবসা করতেন। ভাগ্নে রাজিব ভৌমিকের ব্যবসার জন্য মামার নিকট ২০ লাখ টাকা নেয়। মামা বিকাশ সরকার মূলধনসহ সমদয় টাকা ফেরত চাইলে ভাগ্নের সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জের ধরে গেলো (২৭ জানুয়ারি) বিকেল রাজিব বিকেলে মামার বাসায় আসে। মামা বাসায় না থাকায় সেই সুযোগে মামীকে কফি আনার জন্য বাহিরে পাঠায়। সেই সুযোগে মামাতো বোন পারমিতা সরকার তুশিকে হত্যা করে। মামি কফি নিয়ে বাসায় আসলে স্বর্ণা সরকারকে রড দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত। পরে মামাকে মোবাইল ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলে। মামা বিকাশ সরকার বাসায় আসলে তাকে একই কায়দায় হত্যা করে। হত্যায় ব্যবহৃত রড ও হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এএম/