শিল্পকলায় পিঠা উৎসব, ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়াস
সারাদেশে একযোগে চলছে ১১ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০। বুধবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
একাডেমির বাউলকুঞ্জের সামনে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০ এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
প্রথম পর্বে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রদর্শিত হয় জাতীয় পিঠা উৎসবের পর একটি ভিডিওচিত্র।
এরপর পরিবেশিত হয় গ্রামবাংলার জনপ্রিয় লাঠি খেলা। ঢাকের তালে মঞ্চে পরিবেশিত হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যশিল্পীদলের ঢাকী নৃত্য।
আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব এবং জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
পিঠা বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক ও গবেষক বাশার খান। পিঠার পূর্বের সময়কার ঐতিহ্য লুপ্ত প্রায় ৪ শতাধিক ধরন নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন ‘আমাদের এই স্বাধীন দেশকে উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হবে। জঙ্গী মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য আমাদের যুব সম্প্রদায়কে নানা ধরনের গ্রামীণ খেলাধূলা এবং সংস্কৃতির সাথে যুক্ত করতে হবে। বাঙালি হিসেবে পিঠার প্রতি আমাদের যে জায়গা সেটাও আমাদের বুঝতে হবে। পিঠা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই যুক্ত। কিন্তু ধীরে ধীরে তার অনেকটা হারাতে বসেছে”।
এবারে পিঠা মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৫ টি পিঠাশিল্পীকে পুরস্কার এবং জেলায় জেলায় ৫ জন পিঠাশিল্পীকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন মহাপরিচালক।
১১ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে।