আন্তর্জাতিক

গাজায় এতিম ১৭ হাজার শিশু, ট্রমায় ভুগছে ৫ লাখ

ইসরায়েলি আগ্রাসনের চার মাস হতে চললো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়। হামাস উৎখাতের নামে অবরুদ্ধ উপত্যকার বাসিন্দাদের উপর নির্বিচার হামলা ও অভিযান এখনও অব্যাহত রেখেছে দখলদার সেনারা। প্রায় চার মাসের টানা এ হামলায় মা-বাবা হারিয়ে এতিম হয়ে গেছে ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু; যাদের বেশিরভাগের মুখেই এখনও ঠিকমতো ফোটেনি বুলি। এছাড়া যুদ্ধের ট্রমায় ভুগছে ৫ লাখ ফিলিস্তিনি শিশু।

শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনে ইউনিসেফের যোগাযোগ বিষয়ক বিভাগের প্রধান জোনাথন ক্রিক্স বলছেন, ১৭ হাজার শিশুর এই এতিম হওয়ার হিসাবটি আনুমানিক। কারণ, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত মৃত ও বাস্তুহারার সংখ্যা নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তবে, গাজার প্রতিটি শিশুই চরম মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে পার করছে। পরিবার হারিয়ে এবং আহত হয়ে ট্রমায় ভোগা এ শিশুদের মধ্যে ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষুধামন্দা। বোমার আওয়াজ শুনলেই ভয়ে কান্না করে উঠছে অনেক শিশু। ঘুম পাড়ানোও যাচ্ছে না বড় ধরনের ট্রমায় আক্রান্ত বহু শিশুকে।

গাজায়-এতিম-শিশু

ইউনিসেফের হিসাব বলছে, অন্তত ৫ লাখ ফিলিস্তিনি শিশু যুদ্ধের ট্রমায় ভুগছে। তাদের সবার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি তাদের প্রাণ হারিয়েছে, যাদের মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি শুধু শিশু। এছাড়া ৬৬ হাজার ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন এই সময়ে, চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে ভুগছেন যারা সবাই।

শুধু তাই নয়, হাজারো ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন এখনও। যাদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ কিংবা গণকবরে চাপা পড়ে আছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের সৃষ্ট গণকবরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে গাজা উপত্যকা জুড়ে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন