আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

শিক্ষকের গড়া ড্রামের সেতু পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে সেতু। এও সম্ভব? হ্যাঁ লালমনিরহাট উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ঘোনাপাড়া গ্রাম। সেই গ্রামেই শালমাড়া ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে যেতে শিক্ষার্থীদের পার হতে হয় সতী নদী। 

নদী পার হতে ব্যবহার করা হতো সেতু। সেতুটির বয়স হয়েছে। নুয়ে পরেছে বয়সের ভারে। শুকনো মৌসুমে সেতুটি দিয়ে কোনোমতে নদী পার হলেও বর্ষায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া একরকম বন্ধই হয়ে যায়। 

শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই ড্রাম দিয়ে ভাসমান সেতু তৈরি করেছেন লালমনিরহাটের স্কুলশিক্ষক ইব্রাহিম আলী। ২০টি প্লাস্টিকের ড্রাম আর বাঁশের মাচা দিয়ে তৈরি হয়েছে ৫০ ফুটের ভাসমান সেতুটি। এখন সেই সেতু দিয়েই পার হচ্ছে দুই স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয়রা।

চন্দ্রপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বোতলা মধ্যপাড়া প্রাইমারি, বোতলা মডেল মহিলা কলেজ, বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আল হেরা কিন্ডারগার্ডেন মাস্টার পাড়া ও একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। বালাপাড়া, গোড়ল, চন্দ্রপুর, বোতলাসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষও এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, নতুন করে সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে। তবে সতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন