ফাটলো মর্টার শেল, কাপলো টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফের জিম্বংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে মধ্যরাতে অন্তত ৩০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ হয়েছে। রাত ১২টার পর থেমে থেমে বিস্ফোরণে টেকনাফের গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে ওই এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এদিকে কক্সবাজারের হ্ণীলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের দেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ এখন পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে টেকনাফে হস্তান্তর করা ১০০ মিয়ানমার সেনাকে হ্নীলার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের বায়োমেট্রিক প্রোফাইল তৈরির কাজ করছে সরকার।
স্থানীয়রা জানান, ঘুমধুম ও তুমব্রুতে গোলাগুলি কিছুটা কমলেও সীমান্তের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ। তবে যারা গোলাগুলির কারণে দূর-দূরান্তে আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যর জানায়, আরাকান আর্মির সদস্যরা যখন তাদের ক্যাম্পে হামলা করে,তখন তারা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। তবে শেষ পর্যন্ত কুলাতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। অধিকাংশ বিজিপি সদস্য নদী সাঁতরে পার হয়ে এসেছে। সহযোগিতা করতে মিয়ানমার সরকার বিমান ও হেলিকপ্টারও পাঠিয়েছিল। তবে আরাকান আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধাদের পিছু হটানো যায়নি।
বিজিপি সদস্যরা আরও জানায়, প্রাণভয়ে জীবন বাঁচাতে তারা এদিকে পালিয়ে এসেছেন। তাদের অনেকে আরাকান আর্মির হাতে নিহত হয়েছেন। কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন। আবার কেউ অস্ত্র ফেলে পালিয়ে এসেছেন। ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের তমবাজার,তুমব্রু,গাইবনে বিজিপির তিনটি ক্যাম্প আরাকান আর্মি পুরোপুরি দখলে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছে সরকার।