আর্কাইভ থেকে এশিয়া

বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ

নানা দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথ উত্তাল। গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার প্রতিবাদে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে মিয়ানমারের জনগণ। করোনাভাইরাসের জেরে কঠোর বিধিনিষেধের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে নেদারল্যান্ডসে। সার্বিয়াতেও কোভিডবিধি কঠোর করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আর ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে ইরাকে। এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মিয়ানমার;

গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিসহ আটককৃত রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার। গেল এক ফেব্রুয়ারি দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেনাবাহিনী। রোববার সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন ছিল সবচেয়ে বেশি সহিংস। এদিন নিহত হয় অন্তত ৩৯ জন। সেনারা ক্ষমতা থেকে সরে না যা্ওয়া পযন্ত আন্দোলন না থামানোর ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জনগণ।

নেদারল্যান্ডস:

সাধারণ নির্বাচনের প্রথম প্রহরে রোববার নেদারল্যান্ডসের হেগের রাস্তায় নেমে আসে কারফিউ বিরোধীরা। করোনাবিধি কঠোর করার প্রতিবাদ জানায় তারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীরা। পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ সরিয়ে দিতে গেলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের জমায়েত ঠেকাতে মেট্রোসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সার্বিয়া:

করোনায় কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে সার্বিয়াতেও। বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদে বেলগ্রেডের রাস্তায় নামে দেশটির সাধারণ মানুষ। যোগ দেয় সংগীত শিল্পীরাও। স্টেজ পারফরমেন্স ও কনসার্ট বন্ধের প্রতিবাদ জানায় তারা।

ইরাক:

ইরাকে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রোববার নাজাফের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ জানায় আন্দোলনকারীরা। আঞ্চলিক সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে অবিলম্বে সরকার ও দুই উপপ্রধানের পদত্যাগ দাবি করে তারা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বোমা ও গুলি ব্যবহার করে পুলিশ।

বলিভিয়া:

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়ানিন আনেজের বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখর ছিল বলিভিয়া। প্রতিবাদ জানায় ২০১৯ সালে দেশটির সাবেক এই প্রেসিডেন্ট তার মেয়াদে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতের স্বজনরা। আনেজকে আটকের পর গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালে আনেজের শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় অন্তত ৩৬ জন। রোববার নিজের বিরুদ্ধে শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

 

এসএন

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন