অপরাধ

রেজিস্ট্রেশন অফিসে ছদ্মবেশে দুদক

কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ছদ্মবেশ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম ছদ্মবেশে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং সেবাগ্রহীতাদের বক্তব্য গ্রহণ করে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযানকালে পাওয়া অনিয়মগুলোর বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে এবং অনিয়মে জড়িত কর্মচারীদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কমিশনকে অবহিত করার অনুরোধ জানায়। এছাড়া অভিযোগের বিষয়ে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, তেজগাঁও রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সে গড়ে প্রতিদিন ৫শ দলিল রেজিস্ট্রি হয়। সে হিসাবে দৈনিক আদায় করা ঘুষের অঙ্ক কমপক্ষে ২৫ লাখ। মাসের ২০ কর্মদিবসে আদায় হয় পাঁচ কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের ঘুষে চলে পুরো নেটওয়ার্ক। ঘুষের শতকরা ৭০ শতাংশ চলে যায় কতিপয় অসাধু সাবরেজিস্ট্রারের পকেটে। এছাড়া টাকার ভাগ পান অফিস সহকারী, মোহরার, এক্সট্রা মোহরার বা নকলনবিশ এবং পিয়ন। কতিপয় উমেদারের ওপর পুরো নেটওয়ার্কের ঘুষ আদায় এবং বণ্টনের দায়িত্ব অর্পিত। অবশ্য এর বাইরে বড় বড় কিছু বিশেষ জমি রেজিস্ট্রির বিষয় থাকে। যেখানে থাকে বড় ধরনের ফাঁক। ভুয়া নামজারিসহ প্রয়োজনীয় আরও কিছু জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করে জমি রেজিস্ট্রি হয়। এসব জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার পর ওই দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেয়া হয়।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন