দেশে তামাকজনিত কারণে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়
বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত কারণে মানুষ মারা যায় ১ লাখ ৬১ হাজার, যা দেশের মোট মৃত্যুর ১৯ শতাংশ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইয়্যুথ কনফারেন্স ফর টোবাকো ফ্রি বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৩৫.৩ শতাংশ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে, যা সংখ্যায় ৪ কোটি। দেশে তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে ১৫ লাখ মানুষ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪১ শতাংশ মৃত্যু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি যা বলেন তা করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জীবনকে বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আজ বিশ্ব নেত্রী। বাংলাকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আগামী ৫ বছরে ২ কোটি লোককে চাকরি দেবেন শেখ হাসিনা।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, “দেশের বিশাল সংখ্যক তরুণ সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকপণ্যে আসক্ত। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় তামাকজনিত রোগের কারণে এবং তামাক ব্যবহারের বাৎসরিক অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানোসহ)। সমৃদ্ধ দেশ এবং সুস্থ-সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তাই জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে তরুণ সমাজ ও শিশু-কিশোরদের রক্ষা এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার গুরুত্ব অপরিসীম।”
তারা বলেন, “উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে আজকের তরুণদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে এবং নিজেদেরকে দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজকের তরুণরা যদি জ্ঞান ও দক্ষতায় এগিয়ে থাকে তাহলেই কেবল ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন অর্জন সম্ভব হবে। তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তবে, এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। সেক্ষেত্রে তামাক ও মাদকবিরোধী প্রচারণাকে আরও জোরদার করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে।”
“বাংলাদেশ আজকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সক্ষমতা অর্জন করেছে। এই অগ্রগতিকে বেগবান করতে হলে এবং টেকসই করতে গেলে তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নিতে হবে”, বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।