দিনের বেলায় শ্রমজীবী, রাতে ছিনতাই-চাঁদাবাজি
দিনের বেলায় সবাই শ্রমজীবী, আছে সবজি বিক্রেতাও। তবে ভিন্ন পেশা হলেও সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় তাদের পেশা ও পরিচয়, সবার পরিচয় তখন এক। বেড়িয়ে আসে ভয়ঙ্কর রূপ। মোহাম্মদপুর ও তার আশপাশের এলাকায় এরা ডাকাতি,ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। প্রত্যেকের নামে রয়েছে একাধিক মামলা, জেলও খেটেছেন। বেরিয়ে আবার জড়িয়েছেন গ্যাং কালচারে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-২ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান।
র্যাবের এ অধিনায়ক জানান, রাজধানীর মোহাম্মাদপুর,আদাবর,হাজারীবাগ এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ এর বিভিন্ন গ্রুপের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এর প্রেক্ষিতে একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়েছে। অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ ও তার আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাবের একাধিক দল মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের ৩৬ জনকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, এদের মধ্যে ৫ জন পাটালি গ্রুপের, ৬ জন ‘লেভেল হাই’, ৬ জন ‘চাঁন গ্রুপ’,৫ জন ‘লও ঠ্যালা গ্রুপ’ এবং ৭ জন ‘ মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এদের গ্রুপে প্রায় ২০-২৫ জন সদস্য থাকে।
র্যাব জানায়, আটককৃতরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান,আদাবর,শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো। মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তারা।
প্রসঙ্গত, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।