আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিশ্বে করোনায় একদিনে বেড়েছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা

করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত কখনো কমছে আবার কখনো বাড়ছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও১ হাজার ৬৪৯ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬১০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। 

তথ্য অনুযায়ী, গেলো ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৪৯ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬১০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার ৫২৭ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ৪১৬ জনে।

গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৩২ জন এবং মারা গেছেন ২৭১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৬৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৫ হাজার ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৬১৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭০১ জনের।

তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫৯ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৮০ হাজার ২২৩ জন। উত্তর কোরিয়ায় মারা গেছেন ৭১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬২০ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭ জন এবং মারা গেছেন ১৫৫ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৬ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৮০২ জন এবং মারা গেছেন ৭৭ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২০ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৩৬১ জন এবং মারা গেছেন ৮০ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২০৮ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। একই সময়ে গ্রিসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬১৮ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন