আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দাম বেড়েছে গাজর-শসার

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে গাজর ও শসার দাম। কেজি প্রতি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। আর শসা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায়। গেলো সপ্তাহে গাজরের দাম ছিলো কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকা এবং শসার দাম ছিলো ৪০-৫০ টাকা।

আজ শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

গাজর ও শসার মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। এক কেজি পাকা টমেটো ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। সেই সঙ্গে মাছ ও মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। আমদানি করা রসুন ও ফার্মের মুরগির ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ।

গেলো সপ্তাহের মতো বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে করলা। এছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। কাঁচ কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আমদানি করা রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৬০ টাকায়, যা গেলো সপ্তাহে ছিলো ১৯০-২০০ টাকা। তবে দেশি রসুনের কেজি আগের মতো ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে নতুন করে বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫-১৬০ টাকায়। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩১০ টাকা। গরুর মাংসের দামেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি করছেন। 

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৬০ টাকা। শল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি ২০০-২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে কোন পরিবর্তন আসেনি।

মির্জা রুমন 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন