জাতীয়

‘৫০০টি ইটভাটা প্রাথমিকভাবে বন্ধ হচ্ছে’

ইটভাটা নিয়ে আমাদের ১০০ দিনের একটি কর্মসূচি আছে। অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিষয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেব। আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০০টি ইটভাটা বন্ধ করে দেব। এগুলো শুধু বন্ধ না, যাতে পরবর্তীতে আর চালু না হতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনীর সার্কিট হাউজে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ফেনীর ইটভাটাগুলো নিয়ে আমি যতটুকু জানি। যখন ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়, তখন কোনো বসতি আশপাশে ছিল না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন হয়ে গেছে। এসব কারণে ইটভাটাগুলো নবায়ন দেয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা ব্লকের প্যাকেজের দিকে যাচ্ছি। আমরা আশা করব এখানে যারা ভাটার মালিক রয়েছেন, তারা সরকার থেকে প্যাকেজ গ্রহণ করে ব্লকের দিকে যাবেন।

তিনি বলেন, কয়টা ইটভাটা আছে। আমরা কয়টা অভিযান পরিচালনা করলাম। এখন আমরা এই আলোচনায় থাকতে চাই না। আমরা চাইব, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক। সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্লক তৈরি শুরু করুক। ব্লকের দু’টা সুবিধা আছে। একটা হচ্ছে এখানে কোনো কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না। আরেকটা হচ্ছে ব্লক তৈরিতে কোনো বায়ু দূষণ হয় না।

নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সরকার জলধার রক্ষায় ডিজিটাল ম্যাপিং করছে। এর মাধ্যমে আমাদের সবগুলো, নদী, জমি, খাল ও জলদার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারব। এরপর এর মনিটরিংটা আমরা ভালোভাবে করতে পারব। দূষণের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কোন স্থানে কী পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়। আমাদের পৌরসভার সক্ষমতা কি? এসব বিবেচনা করে আমরা বর্জ্য রিসাইকিলিংয়ের ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা শুধু সমস্যার কথা বলতে চাই না। সমাধানে কাজ করতে চাই।

এ সময় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক শওকত আরা কলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন